সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৪৭ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম:
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের হার্টে তিনটি ব্লক ধরা পড়েছে। তিনি বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে তার চিকিৎসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিএসএমএমইউ’র পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহ আল হারুন সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, ওবায়দুল কাদেরকে চিকিৎসার জন্য বিকালে সিঙ্গাপুর নেওয়া হবে। তার শারীরিক অবস্থা পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে।
বিএসএমএমইউ’র কার্ডলিওজির চেয়ারম্যান সৈয়দ আলী আহসান বলেন, এনজিওগ্রাম করা হয়েছে। এরই মধ্যে তিনটি ব্লক ধরা পড়েছে, একটি ওপেন করা হয়েছে। সকালের চেয়েও এখন শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। ৭২ ঘণ্টা না গেলে কিছু বলা যাবে না।
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, মেডিক্যাল ইস্যুতে ডাক্তারই বলবেন। আমাদের দলের পক্ষ থেকে তাকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছি। উন্নত চিকিৎসার জন্য আমরা তাকে সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়ার জন্য যোগাযোগ করছি। আশা করছি তাকে সহসা সিঙ্গাপুর নিয়ে যেতে পারবো।
হাসপাতালের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, এরই মধ্যে ওবায়দুল কাদেরের হার্টে একটি রিং পরানো হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তাকে সেখানে দেখতে যান আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক ও পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম এবং আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক ব্যরিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ বিপুল পরিমাণ নেতাকর্মী। এ সময় আওয়ামী লীগের শীর্ষ স্থানীয় নেতারা অন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান যেন তারা হাসপাতালে ভিড় না করেন।
আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় একটি সূত্র জানায়, দলের সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসার বিষয়টি দেখভাল করছেন।
এর আগে মন্ত্রীর জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছের জানান, রবিবার (৩ মার্চ) সকালে ফজরের নামাজ শেষে হঠাৎ করেই শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হচ্ছিল তার। সঙ্গে সঙ্গে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে।
ঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে সিঙ্গাপুর নেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া। আজ রবিবার রাতে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, সকাল ও দুপুরের চেয়ে তার শারীরিক অবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে। উনি চোখ খুলে তাকান, উনি প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেন। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে পানি খাবেন কি না, তিনি মাথা নেড়ে উত্তর দিয়েছেন। তিনি হাত-পা নাড়ছেন।
তিনি আরো বলেন, ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। তিনি হাত-পা নাড়ছেন, প্রস্রাব হচ্ছে, যেটা দুপুরের দিকে একেবারে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তার অবস্থা এখন উন্নতির দিকে। তাই আপাতত তাকে সিঙ্গাপুর নেওয়া হচ্ছে না।
এর আগে এই মুহূর্তে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার মতো অবস্থায় নেই উল্লেখ করে চিকিৎসকরা জানান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক পরিস্থিতি বারবার অবনতি হচ্ছে। এ কারণে এই মুহূর্তে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার মতো অবস্থায় নেই।
পরে রাতে ঢাকায় আসেন সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। তারা আসার পর মেডিক্যাল বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করেন।
এর আগে আজ রবিবার ভোর ৬টায় নিজ বাসায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে সকাল সাড়ে ৭টায় তাকে বিএসএমএমইউতে নেওয়া হয়। প্রথমে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হলেও বর্তমানে সিসিইউতে রাখা হয়েছে।
গুরুতর অসুস্থ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে দেখতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রোববার বিকাল সাড়ে পৌনে ৪টার দিকে বিএসএমএমইউ’এ আসেন তিনি।
এদিকে ওবায়দুল কাদেরের অসুস্থতার খবর পেয়ে হাসপাতালে ভিড় করছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। সকাল থেকেই আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) এসে ভিড় করেন।
বেলা ১২টার দিকে ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসার খোঁজ নিতে আসেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
এর আগে সকাল ১০টার দিকে আসেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। বেরিয়ে যাওয়ার সময় তিনি বলেন, ‘তার (ওবায়দুল কাদের) শারীরিক অবস্থা কী অবস্থায় আছে এ নিয়ে আমি বলতে চাই না। এ নিয়ে ডাক্তাররাই বলবেন। তবে দলের পক্ষ থেকে আমরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়ার জন্য যোগাযোগ করছি। আমরা আশা করছি, তাকে সহসা সিঙ্গাপুর নিয়ে যেতে পারব।’
এর কিছুক্ষণ পরই হাসপাতালে আসেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। তিনি করোনারি কেয়ার ইউনিটে দায়িত্বরত ডাক্তার এবং মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে কথা বলেন।
পরে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, উনি ভালো আছেন। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ওনাকে দেখতে হাসপাতালে অহেতুক ভিড় জমাবেন না। ভিড় জমলে তার চিকিৎসার ব্যাঘাত ঘটবে। এটি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ।
গুরুতর অসুস্থ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে দেখতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গেছেন প্রেসিডেন্ট মো: আবদুল হামিদ। আজ রোববার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বিএসএমএমইউ’এ আসেন তিনি। এর আগে পৌনে ৪টার দিকে কাদেরকে দেখতে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এদিকে ওবায়দুল কাদেরের অসুস্থতার খবর পেয়ে হাসপাতালে ভিড় করছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। সকাল থেকেই আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) এসে ভিড় করেন।
বেলা ১২টার দিকে ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসার খোঁজ নিতে আসেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
এর আগে সকাল ১০টার দিকে আসেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। বেরিয়ে যাওয়ার সময় তিনি বলেন, ‘তার (ওবায়দুল কাদের) শারীরিক অবস্থা কী অবস্থায় আছে এ নিয়ে আমি বলতে চাই না। এ নিয়ে ডাক্তাররাই বলবেন। তবে দলের পক্ষ থেকে আমরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়ার জন্য যোগাযোগ করছি। আমরা আশা করছি, তাকে সহসা সিঙ্গাপুর নিয়ে যেতে পারব।’
এর কিছুক্ষণ পরই হাসপাতালে আসেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। তিনি করোনারি কেয়ার ইউনিটে দায়িত্বরত ডাক্তার এবং মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে কথা বলেন।
পরে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, উনি ভালো আছেন। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ওনাকে দেখতে হাসপাতালে অহেতুক ভিড় জমাবেন না। ভিড় জমলে তার চিকিৎসার ব্যাঘাত ঘটবে। এটি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শয্যাপাশে দাঁড়িয়ে কাদের কাদের বলে ডাকতেই চোখের পাতা নড়ে উঠলো ওবায়দুল কাদেরের। উপস্থিত সবাই কয়েক সেকেন্ডের জন্য হতবাক ও বিস্মিত হয়ে রইলেন।
আইসিইউর ভেন্টিলেশন সাপোর্টে থাকা যে ব্যক্তিটি সকাল থেকে মৃতপ্রায়, সে লোকটি কিনা প্রধানমন্ত্রীর ডাকে চোখের পাতা নাড়ালেন, এটা কি ভ্রম নাকি কাকতলীয়ভাবে নেত্রীর ডাকে সাড়া দেয়া। এরপর নেত্রী আরও দু-একবার ডাকলেন কিন্তু আর কোনো সাড়া নেই তার।
রোববার বিকেলে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ওবায়দুল কাদেরকে দেখতে আসেন। এ সময় কাদেরের শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসার খোঁজখবর নেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী চলে যাওয়ার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ডিওলজির অধ্যাপক ডা. মোস্তফা জামান এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, মিরাকল কিনা জানি না, উপস্থিত সবাই দেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাদের কাদের ডাকার পর দু-তিন সেকেন্ডের জন্য ওবায়দুল কাদেরের চোখের পাতা নড়ে ওঠে।